চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

কুফর ও তাকফির

    তাকফির অর্থ, কোনো মুসলিমের ব্যাপারে কাফির ও মুরতাদ হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া। কোনো মুসলিমকে তাকফির করার অর্থ, তার ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া যে, সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেছে। এখন দুনিয়া ও আখিরাতে তার ওপর কাফির ও মুরতাদের বিধান প্রয়োগ হবে। যেমন : তার বিয়ে ভেঙে যাবে, পূর্বের সকল নেক আমল নষ্ট হয়ে যাবে, তাওবা করে পুনরায় ইসলামে ফিরে না এলে হত্যা করে ফেলা হবে, সে শাসক হলে তাকে অবশ্যই অপসারণ করতে হবে, সংঘবদ্ধ দল হলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। এ অবস্থায় মারা গেলে তাদের জানাজা পড়া যাবে না, মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না, পরকালে চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবে ইত্যাদি। কাউকে তাকফির করার বিষয়টি যেহেতু খুবই স্পর্শকাতর, তাই শরিয়ত এ ব্যাপারে আমাদের সাবধানতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে। সুস্পষ্ট ও অকাট্য দলিল-প্রমাণ ছাড়া কাউকে তাকফির করা যাবে না। উম্মতে মুসলিমার মধ্যে প্রথম যে ফিতনা দেখা দিয়েছে তা হলো এই খারেজি ফেতনা বা তাকফিরি ফিতনা। এ ফিতনার দ্বারাই উম্মতের মধ্যে ফিতনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। খলিফায়ে রাশিদ উসমান রা.-কে তাকফির ও হত্যার মাধ্যমে এ ফিতনার সূত্রপাত হয়েছে। সেই যে ফিতনা শুরু হয়েছে, এরপর তা আর শেষ হয়নি। গ্রন্থটিতে আহলুস সুন্নাহর মূলনীতির আলোকে তাকফিরের বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ ও ভারসাম্যপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে। ইতিপূর্বে বাংলাভাষায় এতটা বিস্তৃত ও গঠনমূলক আলোচনাসমৃদ্ধ কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। গ্রন্থটি সর্বস্তরের পাঠকের সামনে ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
আলী হাসান উসামা
৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি, দুটি পাতা ও একটি কুঁঁড়ির দেশ সিলেটে জন্ম। লেখাপড়া করেছেন রাজধানীর নামকরা দুটো প্রতিষ্ঠানে। অনন্যসাধারণ মেধাবী এ তরুণ আলিম ছাত্রজীবনে তাঁর মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় হিফজ বিভাগে ১ম, ফজিলতে ১২তম এবং তাকমিল ফিল হাদিসে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করে। এরপর দু-বছর সময় ব্যয় করেছেন ফাতওয়া বিভাগে।

শিক্ষা সমাপনের পর ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রবেশ করেন কর্মজীবনে। বর্তমানে এক স্বনামধন্য মাদরাসায় সিনিয়র মুহাদ্দিস পদে কর্মরত। পাশাপাশি ফাতওয়া বিভাগের সহযোগী মুফতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষকতা ছাড়াও তিনি লেখক, অনুবাদক, সম্পাদক, আলোচক ও খতিব হিসেবেও নিয়মিত কাজ করছেন।

আলী হাসান উসামা সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণদের অন্যতম। ঈর্ষণীয় ইলমি যোগ্যতার পাশাপাশি তাঁর মধ্যে একত্র হয়েছে সহজ-সরল অসাধারণ রচনা ও অনুবাদ-দক্ষতা। ফলে স্বল্পসময়ে তিনি বেশ কয়েকটি বেস্টসেলার বইয়ের জন্য গুণীজনের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সম্পাদনার অঙ্গনেও তাঁর রয়েছে যথেষ্ট সুনাম। আলোকিত অঙ্গনে নিয়মিত পদচারণার মাধ্যমে নানারকম ইলমি কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সময়ের এই প্রতিভাবান তরুণ।

লেখকের ‘ফিতনার বজ্রধ্বনি’র পর দ্বিতীয় মৌলিক গ্রন্থ হিসেবে ‘মুক্ত প্রাণের হে সন্ধানী’ বইটিও কালান্তরের বেস্টসেলার বইয়ের তালিকায় নাম উঠিয়েছে। এ ছাড়াও তাঁর অনূদিত ও সম্পাদিত কয়েকটি বই কালান্তর থেকে বেরিয়েছে এবং আরও কয়েকটি প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।

এই লেখকের আরো বই