চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

সিলেটে বঙ্গবন্ধু

    বাংলা-আসামের এক সুপ্রাচীন জনপদ পূণ্যভূমি সিলেট। সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, ধলাই, বিজনা, বিবিয়ানা, করাঙ্গীসহ হাজারো নদী -উপনদী বিধৌত, হাওর-বাওর, বন-বনানী, পাহাড় পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি ও ৩৬০ আওলিয়ার স্পর্শধন্য এই সিলেট অঞ্চল। বিশ্ববিখ্যাত পর্যটক হিয়াংসাং আর ইবনে বতুতা থেকে শুরু করে উপমহাদেশের অসংখ্য খ্যাতিমান মনীষী বিভিন্ন সময়ে নানা ঐতিহাসিক কারণে এই পবিত্র ভূমিতে পদার্পন করেছেন। সবুজ-শ্যামলে ঘেরা, আতর-আগরের সুগন্ধে ভরা, দুটি পাতা একটি কুড়ির মনোরম দৃশ্যপট আর সিলেটের কমলালেবুর ঘ্রাণ অনেককে হাতছানি দেয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক নানা প্রেক্ষাপটে বহুবার সিলেট এসেছেন। তাঁর অক্লান্ত ত্যাগ-তিতিক্ষা ও দীর্ঘ সংগ্রামের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি হৃদয়সম একটি স্বাধীন-সর্বভৌম বাংলাদেশ ও একটি রক্তেভেজা লাল-সবুজের পতাকা। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী কাফেলার বহু রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও ঘনিষ্ঠ সহচর রয়েছেন এই সিলেট অঞ্চলে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের নানা চিত্রপটের ঐতিহাসিক সন্ধান পাওয়া যায় এই পূণ্যভূমি সিলেটে।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
সৈয়দ আব্দুল্লাহ
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ। লিখছেন সত্তরের দশক থেকে। শেকড়সন্ধানী গবেষক হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত।

উনসত্তরের গণ-আন্দোলনে তিনি রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে পরিচিত। পলাশি থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিসংগ্রাম পর্যন্ত দেশের প্রতিটি স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস ও সেই ইতিহাসের নায়কদের নিয়ে সৈয়দ আব্দুল্লাহ লিখেছেন অনেক গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও গ্রন্থ। এরই ধারাবাহিকতায় এবার প্রকাশ হতে যাচ্ছে ‘সিলেটে বঙ্গবন্ধু’ নামক ইতিহাস ও গবেষণামূলক এই গ্রন্থটি। তিনি কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন দেশ বিদেশের কিছু সম্মাননা ও পুরস্কার।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ সিলেট অঞ্চলের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের জীবন্ত কিংবদন্তী বলা চলে। সিলেট ও তরফ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘তরফরত্ম’ উপাধি পেয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী তরফ সাহিত্য পরিষদের তিনি সভাপতি। তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে ব্রিটেনের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল-এস’ দীর্ঘ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে প্রচার করেছে। জন্ম হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী উত্তরসুর হাবিলীতে। বাংলা সাহিত্যের লালন-বিকাশ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে এ পরিবারের মনীষাদের অবদান উপমহাদেশখ্যাত। বাংলা রম্যগদ্যের নির্মাতা বহুভাষাবিদ পণ্ডিত, কালজয়ী কথাসাহিত্যিক ড. সৈয়দ মুজতবা আলী এই পরিবারেরই কৃতিসন্তান।

মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকতার মহান পেশা থেকে অবসর গ্রহণ করে পেনশনের সমুদয় অর্থ দিয়ে ছাপিয়েছেন নিজের লেখা বেশ কিছু ঐতিহাসিক গবেষণাগ্রন্থ ও গড়ে তুলেছেন সমৃদ্ধ পাঠাগার। দেশপ্রেম ও সাহিত্যের জন্য তাঁর এই বিরল ঘটনা যুগে যুগে সাহিত্যসেবী মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

এই লেখকের আরো বই