চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

বিস্ময়ে ববিতা

    ১৯৬৯ সালের ১৪ আগস্ট। 'শেষ পর্যন্ত' নামের একটি সিনেমা মুক্তি পায় সমগ্র বাংলাদেশে। এই সিনেমার নায়িকা তার অভিনয়ের উপার্জিত টাকা দিয়ে প্রথম একটি টয়োটা গাড়ি কেনেন। গাড়িটি কিনে রওনা হন হসপিটালের পথে। উদ্দেশ্য আসুস্থ মাকে একনজর এই গাড়িটি চোখের দ্যাখা দেখাবেন। কিন্তু হসপিটালে পৌছানোর ঠিক মিনিট পাচেক আগে মায়ের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সেইদিন থেকে এই ছবিটি হাউজফুল চলতে থাকে সপ্তার পর সপ্তা। সিনেমার গল্পকেও হার মানানো এই গল্পটি আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের বিস্ময় ববিতার। ববিতা এক অপার বিস্ময়ের নাম। কৈশোরের বিদ্দুচ্চমকিত অদ্ভুত এক অনুভুতি। ১৬ বছর বয়সে তিনি সত্যজিৎ রায়ের 'অশনি সংকেত'-এর অনঙ্গ বউ-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি। এই ববিতার ক্যারিয়ারের সূচনার পূর্বকথায় রয়েছে বাংলাদেশের কিংবদন্তিতুল্য চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের নাম। এই ববিতা 'আলোর মিছিল', 'স্বরলিপি'সহ অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে চিরায়ত স্থান করে নিয়েছেন। ববিতার কর্ম, দর্শন, প্রেম, সংসারসহ নানানদিক নিয়ে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ 'বিস্ময়ে ববিতা'। এতে সত্যজিৎ রায়ের ববিতাকে এবং ববিতার বাবার কাছে লেখা চারটি দুর্লভ চিঠিসমেত রয়েছে সত্যজিতের সঙ্গে পরিভ্রমণের বিরল সব গল্প। নিমাই ঘোষের তোলা অপ্রকাশিত বেশ কয়েকটি ছবি। রয়েছে আমজাদ হোসেন, সুভাষ দত্ত, জহির রায়হানসহ নন্দিত নির্মাতাদের সাথে রঙিন সব অভিজ্ঞতার গাথা।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
সাজ্জাদ হুসাইন
বিচিত্র পরিভ্রমণের মধ্য দিয়ে নিজেকে আবিষ্কারের আনন্দ নিয়ে লিখেন সাজ্জাদ হুসাইন। বিরল মানুষ এবং প্রকৃতি তার লেখার প্রাণশক্তি। লেখার জন্য কখনও ঢুকে পড়েন দার্জিলিংয়ের মেঘ-কুয়াশার মধ্যে, অঞ্জন দত্তকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে গিয়ে অদ্ভুত নস্টালজিয়ার মধ্যে ডুবে গিয়ে রচনা করেন অঞ্জন দত্তর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘অঞ্জনযাত্রা’। এরপর আবার থিয়েটারের অঞ্জনকে নিয়ে চলে যান কলকাতার হাতিবাগানের ধসে পড়া থিয়েটারপাড়ায়। সেখানে প্রখর রোদ্দুরে অঞ্জন দত্তকে সাথে করে চলে যান নটী বিনোদিনীর বাড়ির সামনে। রাস্তার মাঝখান বরাবর দাড়িয়ে থাকা গিরীশ ঘোষের বাড়ির কম্পাউন্ডে। ম্যাজিক্যাল থিয়েটার ‘সারকারিনা’য়। সেই সূত্রে ‘ছাপাখানার ভূত’-এর উদ্যোগে ঢাকার মঞ্চে প্রথম মঞ্চস্থ হয় অঞ্জন দত্তর প্রথম নাটক ‘সেলসম্যানের সংসার’। সাজ্জাদ লিখেন অঞ্জন দত্তর নাট্যজীবন নিয়ে দ্বিতীয় গ্রন্থ ‘নাট্যঞ্জন’। খুড়ে খুড়ে খুজে বের করেন অন্য এক অঞ্জনকে। এরপর সাজ্জাদ বেরিয়ে পড়েন মৃত্যুর অপার রহস্যময়তা জানার সন্ধানে। ঈশ্বরবিশ্বাস, পরকাল, পুনর্জন্ম, আত্মা-শরীর, মহাকাল ছাপিয়ে বের করতে চান কর্মের বিশালতাকে। সেই ভাবনা থেকে ৩ খণ্ডে রচিত হয় নন্দিতজনদের নিয়ে বিশেষ সংকলনগ্রন্থ ‘এখানে মৃত্যু নেই’। এই গ্রন্থের কাজ চলতে চলতে অনন্তের যাত্রায় ছুট দেন সেইসব নন্দিতজনদের কেউ কেউ। চলে যান নবনীতা দেবসেন, মুর্তজা বশীর, নিমাই ঘোষ, নিমাই ভট্টাচার্য, আমজাদ হোসেন… তারা অন্তর্লোকে চলে যান। কিন্তু তারা রয়ে যান কর্মে। আর দিয়ে যান ঈশ্বরবিশ্বাস, মৃত্যুচেতনা, মানবজীবন, পরকাল, পুনর্জন্ম, মহাকাল নিয়ে নিজস্ব ভাবনার কথা। সেগুলো মায়া দিয়ে রচনা করেন সাজ্জাদ। সাজ্জাদ হুসাইন আবিষ্কার করেন কবীর সুমনের গানের বাইরের এক্সাইটিং এক সত্তাকে। তার আত্মদর্শন নিয়ে লিখেছেন ‘কবীরা’। লিখেছেন চারুলতাখ্যাত শিল্পী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের থিয়েটার, সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, পূর্ণেন্দু পত্রীসহ নানান বিরল শিল্পীদের সাথে পরিভ্রমণের আদ্যোপান্ত নিয়ে আত্মকথনমূলক গ্রন্থ ‘মাধবীর জন্যে’।তার লেখা বাংলাদেশের কিংবদন্তিতুল্য দুই শিল্পী ববিতা ও এটিএম শামসুজ্জামানকে নিয়ে আত্মকথনমূলক গ্রন্থও প্রকাশিত হয়ে গেছে এরইমধ্যে। বই দুটির নাম যথাক্রমে ‘বিস্ময়ে ববিতা’ ও ‘আমি আমি’।দুই বাংলার কালোত্তীর্ণ গানের দল ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র সকল সদস্যদের সাথে আড্ডা, গল্প, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে করে ৩ বছরের পরিভ্রমণ শেষে রচনা করেন একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ ‘মহীনের ঘোড়াগুলির গান’। এইসব পথ পেরিয়ে সাজ্জাদ হুসাইন এখন বেরিয়ে পড়তে চান অন্য পথে। যেখানে আরও আরও অদ্ভুত মানুষেরা রয়েছে। রয়েছে প্রকৃতি। রয়েছে বিস্ময়। যা ফেলে আসা পথকে নতুন পথের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে।চিন্তা-চেতনার উস্কানিতে অক্লান্ত হেটে চলের এই আর্বান পথিক…

এই লেখকের আরো বই