চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে

    ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে: ১৯৪৪ খ্রিস্টব্দের ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাত্রিতে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন বিপ্লবী জ্যোতিষচন্দ্র বসু। কয়েকদিনের মধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েন পবিত্র রায় এবং হরিদাস মিত্র। তিনজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ রাজদ্রোহ। একই অভিযোগে জেলে ঠাঁই পেলেন আরও একজন বিপ্লবী, অমর সিং গিল। চলল অমানুষিক পুলিশি অত্যাচার। উদ্দেশ্য আজাদ হিন্দ ফৌজ সম্পর্কিত গোপন তথ্য। একই সাথে চলতে লাগল বিচারের নামে প্রহসন। আর বিচারে হল ফাঁসির সাজা। ফাঁসির মঞ্চ থেকে কি কেউ ফিরে আসতে পারে? বিশেষত, সে ফাঁসির ফাঁস যদি পরানো হয়ে থাকে বিপ্লবী কোনো যুবার গলায়? উত্তরটা সবসময়ই_‘না’। তবু কোনো এক মাহেন্দ্রক্ষণে এই অসম্ভবকেই সম্ভবপর করে ‘না’ হয়ে উঠেছিল ‘হ্যাঁ’। ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে এসেছিলেন একজন নয়, চার-চারজন বিপ্লবী যুবা! তাঁদেরই অন্যতম জ্যোতিষচন্দ্র বসুর কলমে এক উত্তাল সময়ের রুদ্ধশ্বাস জবানবন্দি।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
জ্যেতিষচন্দ্র বসু:
দেশপ্রিয় পার্কের কাছে বিপিন পাল রোডে থাকতেন বিপ্লবী জ্যোতিষচন্দ্র বসু। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯৪৪) বাড়ির ছাদে ট্রান্সমিটার বসিয়ে সেখান থেকে আজাদ হিন্দ বাহিনীর সিক্রেট সার্ভিস-এর সঙ্গে খবর আদানপ্রদান করতেন। সঙ্গী ছিলেন হরিদাস মিত্র, অমর সিংহ গিল, পবিত্র রায়। এর জন্যে চারজনেরই ফাঁসির হুকুম হয়, কিন্তু গাঁধীজির হস্তক্ষেপে ভাইসরয়ের আদেশে চারজনই মুক্তি পান। ১৯০৮-এর ৭ ডিসেম্বর যশোরের ডোঙ্গাঘাটা গ্রামে জন্ম, জ্যোতিষচন্দ্র ১৯৩৫-এ নেতাজির সান্নিধ্যে আসেন। আই এন এ-র কাজে তাঁকে সহায়তা করতেন স্ত্রী পূরবী। মুক্তির পর জ্যোতিষচন্দ্র গাঁধীজির নোয়াখালি পদযাত্রায়ও সামিল হন। খদ্দর-পরিহিত স্পষ্টবাদী সুবক্তা এই মানুষটি স্বাধীনতার পরেও যুক্ত ছিলেন নানা সামাজিক কাজে।

এই লেখকের আরো বই