চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

আরজ আলী মাতুব্বর রচনাসমগ্র-২

    ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা: স্বশিক্ষিত দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের প্রকাশিত-অপ্রকাশিত সমগ্র রচনা নিয়ে চার খন্ডে বিভক্ত রচনাবলির দ্বিতীয় খন্ড এই বই। আরজ আলী মাতুব্বর সম্পর্কে কয়েকজন বিশিষ্ট বাঙালির অভিমত ......আরজ আলী মাতুব্বরের গন্থ পড়ে আমি মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়েছি নতুন কথা বলে নয়,তার মুক্তবুদ্ধি,সৎ সাহস ও উদার চিন্তা প্রত্যক্ষ করে। -আহমদ শরীফ......আরজ আলী মাতুব্বরের জিজ্ঞাসার যে চিত্র তুলে ধরেছেন, পাঠকের মনে চিন্তার খোরাক যোগাতে সক্ষম।-অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান........আরজ আলী মাতুব্বর প্রধম ও নির্মম যে অন্ধকার সুচিরকাল ধরে স্থায়ী হয়ে আছে এই বাংলাদেশে , তাঁর কথাই বলেছেন তাঁর বইতে। বর্ণনা করে নয়, প্রশ্ন করে। -সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী...... আরজ আলী মাতুব্বর শিক্ষিত বুদ্ধিজীবিদের অহংকার ও আত্নতৃপ্তিকে শক্ত হাতে নাড়িয়ে দিয়েছেন।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
আরজ আলী মাতুব্বর
স্বশিক্ষিত বিজ্ঞানমনস্ক প্রগতিবাদী এই অভিধাগুলো যথার্থভাবে যার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তিনি দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর। । ১৩০৭ বঙ্গাব্দের ৭ পৌষ জন্ম গ্রহণের পর হতে নিরন্তর সংগ্রাম, সংঘাত ও প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে আপন জীবনাজ্ঞতায় পরিচ্ছন্নবােধ অর্জন করেছিলেন। কৃষিকাজ ও আমিন পেশায় রত থেকেও এই অগ্রগামী মহাপুরুষ অবিচল আস্থায় সংস্কার ও অন্ধ আবেগের পশ্চাৎমুখীতাকে ক্ৰমাগত শনাক্ত করেছেন। ফলে তার ওপর পাকিস্তানি শাসনামলে গ্রেপ্তারি, মামলা ও মতপ্রকাশে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশেও মৌলবাদীসহ সমাজের বিভিন্ন মহল কর্তৃক নিগৃহীত হতে হয়েছে তাকে। সংস্কারবিমুখ মুক্তবুদ্ধি চর্চার জন্য পাঠাগার স্থাপন, মানবকল্যাণে চক্ষু ও শরীর দান এবং দর্শন, ইতিহাস, বিজ্ঞান, গণিত, কবিতা ও আত্মজীবনীসহ মোট ১৮ টি পাণ্ডুলিপি রচনা ইত্যাদি অবদানে মানবমণ্ডলীকে ঋণী করে গেছেন তিনি। ৭ কন্যা ও ৩ পুত্রের জনক এই মহতী ব্যক্তিত্বের মৃত্যু ঘটে ১ চৈত্র ১৩৯২ বঙ্গাব্দে।

এই লেখকের আরো বই