চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

কোভিডকালের লেখালেখি

    মুখবন্ধ: বিশ্বব্যাপী চলমান কোভিড-১৯ এর মহামারীর বিপর্যয়ের মধ্যেও আমাদের অনেক অর্জন আছে। যেমন, এই করোনাকাল আমাদের অনেক প্রতিভার সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। ব্রুনাই দারুসসালাম প্রবাসী চিকিৎসক এ বি এম কামরুল হাসান তাদের মধ্যে অন্যতম। এই গ্রন্থে প্রকাশিত অনেকগুলো লেখা প্রকাশের আগেই আমার পড়বার সৌভাগ্য হয়েছিল। লেখক হিসেবে তার একটা বড় গুন হলো, পাঠকের পরামর্শ গ্রহণের মানসিকতা। এর ফলে আমি লক্ষ্য করেছি, তার লেখার মান ক্রমশ উন্নত হয়েছে। তার সাথে আমার লেখালেখি নিয়ে মাঝেমধ্যেই অনলাইনে বা ফোনে কথা হয়। দীর্ঘকাল প্রবাসে থেকেও মাতৃভূমির সাথে লেখক কামরুল হাসানের এক ধরণের নাড়ির টান রয়েই গেছে। তার লেখালেখির বিষয়সমূহও তা প্রমাণ করে। চিকিৎসক জীবনের ব্যস্ততার পাশাপাশি স্বদেশ নিয়ে তার এই ভাবনাসমূহ আমাকে মুগ্ধ করে। লেখালেখিতে ধারাবাহিকতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। আমি আশা করবো লেখক এ বি এম কামরুল হাসান নিয়মিত লেখালেখির মাধ্যমে দ্রুতই পাঠক হৃদয়ে একটি শক্ত অবস্থান তৈরী করে নেবেন। এই গ্রন্থ প্রকাশের মহতী লগ্নে লেখক-চিকিৎসক এ বি এম কামরুল হাসানের জন্য শুভ কামনা রইল। আমি লেখকের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ‘কোভিডকালের লেখালেখি’ গ্রন্থটি পাঠকপ্রিয়তা পাক এই প্রত্যাশা রইল। চিয়ার্স। আবুল হাসনাৎ মিল্টন, কবি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, নিউক্যাসেল, অস্ট্রেলিয়া| ভুমিকা: লেখালেখির শুরু স্কুলজীবনে। হাতে লেখা দেয়াল পত্রিকা আর স্থানীয় সাময়িকীতে। পত্রিকায় লেখা শুরু করি একাদশ শ্রেণীতে পড়াকালীন, স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে। টানা এক যুগ লিখেছি যশোর, খুলনা, বরিশালের পত্রিকাসহ জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিকীতে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াকালীন বরিশালের দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল পত্রিকায় নিয়মিত সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় লিখতাম। উন্নয়ন সাংবাদিকতায় ফিচার লিখেছি 'ডেভফিচার' ও 'ডেভপ্রেস ফিচার' নামের দুটি প্রতিষ্ঠানে, যা সে সময় সারা দেশের পত্র পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হত। ফিচার লেখার ওপর কয়েকটি প্রশিক্ষণ নিয়েছি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট, এডাব ও সিএফএসডি থেকে। জাওয়াদুল করিম সম্পাদিত সাপ্তাহিক ছুটি ম্যাগাজিনে বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছি পাঁচ বছর। এমবিবিএস পাশ করার পর উচ্চশিক্ষা ও কর্মব্যস্ততায় সুদীর্ঘ পঁচিশ বছরের বিরতি। বিবেকের তাড়নায় কোভিড এর শুরু থেকে আবার লেখালেখি শুরু। জীবনের দ্বিতীয় পর্যায়ে লেখালেখি করতে যেয়ে যাদের সহযোগিতা পেয়েছি, যারা আমার লেখাগুলোর প্রথম পাঠক- তাদের নাম উল্লেখ না করলেই নয়। এদের অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন, সমালোচনা করেছেন, সংশোধনী দিয়েছেন। আমার সহধর্মিনী ডা নওয়াছি তাঁদের অন্যতম। অনলাইনে পরামর্শ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী অধ্যাপক ডা M Abul Hasnat Milton ও কানাডা প্রবাসী এনেস্থেটিস্ট ডা Ashit Bardhan। মিল্টন ভাইকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। তিনি দীর্ঘজীবী হন- এই কামনা করি। তিনি শুধু বইটি প্রকাশে সর্বাত্মক সহযোগিতাই করেননি। একটা মুখবন্ধ লিখে দিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। পরিশেষে, একটাই অনুরোধ। মূল্য দিয়ে কিনে বইটি পড়ুন। বিক্রিলব্ধ সব টাকাই একটি চ্যারিটিতে দান করা হবে। আপনার দেয়া বইটির বিনিময় মূল্য কোন অসহায় রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে- সেই প্রত্যাশায়।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই