চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

বাংলা স্থাননাম

    বাংলাদেশ জুড়ে যত জায়গা আর তার যত নাম— সবই কি হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা ধন? না কি এইসব জায়গার এইসব বিশেষ নামকরণের পিছনে কোনও তাৎপর্য রয়েছে? সুকুমার সেন এই বইটি না লিখলে আমরা হয়তো এ-ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারেই থেকে যেতাম। তিনিই আমাদের জানালেন যে, আদর করে ছেলেমেয়েকে যে-কোনও নামে ডাকা আর একটি স্থানের নাম রাখা এক ব্যাপার নয়। স্থাননামের মূল্য ব্যক্তিনামের থেকে বেশি, স্থায়িত্বের দিক থেকেও বেশি মূল্যবান। স্থাননাম নিরর্থক হয় না, কোনও না-কোনও অর্থ থাকেই। ‘বাংলা স্থাননাম’-এ ভাষাচার্য সুকুমার সেন সেইসব নামকরণেরই। নানান কৌতুহলকর দিক তুলে ধরেছেন। দু’পর্বে বিন্যস্ত এই বই। প্রথমপর্বে, বাংলা স্থাননামের ভাষাতাত্ত্বিক আলোচনা। কত ভাবে আর কত কিছুর প্রভাবে তৈরি হয়েছে নাম, তা তিনি প্রাঞ্জলভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে একটি নির্বাচিত ‘স্থান- নাম-কোশ’ নানান জায়গার অজস্র নাম আর তার সম্ভাব্য ব্যুৎপত্তি দিয়ে রচিত এক অসামান্য অভিধান।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
সুকুমার সেন
Sukumar Sen-এর জন্ম : জানুয়ারি ১৯০০ সাল। কলকাতায়। বর্ধমান মিউনিসিপাল হাই ইংলিশ স্কুল থেকে ১৯১৭ সালে পাশ করেছেন প্রবেশিকা পরীক্ষা, মোহিনীমোহন মিশ্র মেডেল পেয়ে। আই-এ, বর্ধমান রাজ কলেজ থেকে। সংস্কৃত, বাংলা ও গণিত তিন বিষয়ে লেটার। সংস্কৃত কলেজ থেকে সংস্কৃত অনার্সে বি-এ। কমপ্যারেটিভ ফিললজিতে এম-এ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোনার মেডেল। ১৯২৪-এ প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি। ১৯২৬-এ মোয়াট মেডেল। ১৯২৬-৩১ মৌলিক গবেষণা করে তিনবার গ্রিফিথ মেমোরিয়াল পুরস্কার ও দু-বার স্যার আশুতোষ মুখুজ্জে মেডেল পেয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার ১৯৩০ সাল থেকে, এর আগে অনারারি লেকচারার। ১৯৩৭-এ পি-এইচ-ডি.| ১৯৫৪-১৯৬৪ খয়রা অধ্যাপক। ১৯৫২তে ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যক্ষ। ১৯৬৩তে রবীন্দ্র পুরস্কার। ১৯৮১-তে বিদ্যাসাগর পুরস্কার। এ-ছাড়াও আনন্দ পুরস্কার, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর রামেন্দ্রসুন্দর স্মৃতি পুরস্কার। সরোজিনী মেডেল। এমন আরও বহু। বিশ্বভারতী দিয়েছেন ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়—ডি. লিট| নানা গ্রন্থ : ইংরেজীতে ও বাংলায়।

এই লেখকের আরো বই