চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

প্রথম আলো - ২

    প্রথম আলো বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগের বিখ্যাত বাঙালি কবি ও কথাসাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা একটি জনপ্রিয় ঐতিহাসিক উপন্যাস। দীর্ঘ এই উপন্যাসটি রচিত হয়েছে ঊনবিংশ শতকের শেষার্ধের পটভূমিকায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের আর এক বিখ্যাত উপন্যাস সেই সময়-এ যে কাল-পর্বের কথা আছে ঠিক তার পরের কাল-পরিধি এই উপন্যাসের উপজীব্য। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে জাতি হিসাবে বাঙালির আত্মসচেতনতা গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া এ ঐতিহাসিক উপন্যাসের কেন্দ্রিয় সুর। বিবরণ সুদীর্ঘ এই উপন্যাসটির শুরু হয় ত্রিপুরার রাজপরিবারের কাহিনি দিয়ে। তারপরে তা ক্রমশ জমাট বাঁধে কলকাতায় ঠাকুর পরিবারে এবং তৎকালীন অন্যান্য বিশিষ্ট সব মানুষদের নিয়ে। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলি সবই প্রায় বাস্তব ঐতিহাসিক চরিত্র। যেমন রবীন্দ্রনাথ, নরেন্দ্রনাথ (বিবেকানন্দ), রামকৃষ্ণ পরমহংস, নটী বিনোদিনী, গিরিশচন্দ্র প্রভৃতি। সুনীলই প্রথম রবীন্দ্রনাথকে উপন্যাসের চরিত্র হিসাবে ব্যবহার করেছেন। তবে উপন্যাসের মূল চরিত্র হিসেবে রয়েছে দুটি কাল্পনিক চরিত্র "ভরত ও ভূমিসুতা"। উপন্যাসটির ঘটনা প্রবাহ আবর্তিত হয়েছে এই দু'টি চরিত্রকে কেন্দ্র করেই। উপন্যাসটি থেকে স্পষ্ট একটি ধারণা পাওয়া যায় রামকৃষ্ণ পরমহংস ও তার শিষ্যদের সম্বন্ধে। প্রথম আলো উপন্যাসটি দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী কালে আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই বইটির ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশিত হয় অক্সফোর্ড থেকে।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
বিশ শতকের শেষাংশে জন্ম নেওয়া সব্যসাচী একজন বাঙ্গালি সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট- এমন বহু পরিচয়ে সাহিত্যের অগণিত ক্ষেত্রে তিনি রেখেছেন তাঁর সুকুমার ছাপ। নীললোহিত, সনাতন পাঠক কিংবা কখনো নীল উপাধ্যায় ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়েছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর বই সমূহ। অধুনা বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪। কিন্তু মাত্র চার বছর বয়সেই স্কুল শিক্ষক বাবার হাত ধরে সপরিবারে পাড়ি দিয়েছিলেন কলকাতায়। ১৯৫৩ সালে সাহিত্যে বিচরণ শুরু হয় কৃত্তিবাস নামের কাব্যপত্রিকার সম্পাদনার মধ্য দিয়ে। ১৯৫৮ সালে প্রকাশ পায় প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একা এবং কয়েকজন’। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর বই মানেই পাঠকের কাছে আধুনিকতা আর রোমান্টিকতার মেলবন্ধন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কবিতার বই হলো ‘আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি’, ‘যুগলবন্দী’ (শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে), ‘হঠাৎ নীরার জন্য’, ‘রাত্রির রঁদেভূ’ ইত্যাদি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই সমগ্র ‘পূর্ব-পশ্চিম’, ‘সেইসময়’ এবং ‘প্রথম আলো’ তাঁকে এপার, ওপার আর সারাবিশ্বের বাঙালির কাছে করেছে স্মরণীয়। ‘কাকাবাবু-সন্তু’ জুটির গোয়েন্দা সিরিজ শিশুসাহিত্যে তাকে এনে দিয়েছিলো অনন্য পাঠকপ্রিয়তা। তাঁরই উপন্যাস অবলম্বনে কিংবদন্তী পরিচালক সত্যজিৎ রায় পরিচালনা করেছিলেন ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র মতো চলচ্চিত্র। পাঠক সমাদৃত ভ্রমণকাহিনী ‘ছবির দেশে কবিতার দেশে’ কিংবা আত্মজীবনীমূলক ‘অর্ধেক জীবন বই’তে সাহিত্যগুণে তুলে ধরেছিলেন নিজেরই জীবনের গল্প। ২০১২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চার দশকে তিনি পরিচিত ছিলেন জীবনানন্দ পরবর্তী পর্যায়ের অন্যতম প্রধান কবি এবং বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসেবে।

এই লেখকের আরো বই