চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

মাদকাসক্তি একটি রোগ প্রতিকার প্রতিরোধ

    মাদকের প্রতি আসক্তি একদিনে তৈরি হয় না। ধূমোন সম্পর্কে অনেক ক্ষয়ক্ষতির কথাই বলা হয় কিন্তু যে বিষয়টি অনেকেরই অজানা ছিল যে ধূমপান থেকেই পরবর্তী সময়ে মাদকের প্রতি আসক্তি শুরু হয়। বিশ্বব্যাপী তামাক ব্যবহার মৃত্যুর প্রতিরোধমূলক একমাত্র কারণ হিসেবে বিবেচিত এবং প্রতি দশজনে একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায়ী। অসংক্রামক রোগেই মানুষের মৃত্যুহার বেশি এবং তার মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যই অন্যতম প্রধান। ধূমপানকে মাদকাসক্তির সোপান বলা যায়। মাদকাসক্ত ব্যক্তি বুঝতে পারে না যে সে কখন মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। মাদকাসক্তি যে একটি রোগ বইটিতে তার পূর্বাপর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে এবং প্রতিকার ও প্রতিরোধ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেসব বিষয় খুব সুন্দরভাবে যুক্তিসহকারে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে যা সাধারণ পাঠকদের জন্য সচেতনতামূলক বার্তা নিয়ে এসেছে। পরিবার ও পরিজন-সহ আশপাশের যে কোন মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে সচেতন ও মাদক থেকে বিরত থাকার জন্যে সহযোগিতা করার বিষয়ে বইটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে নিঃসন্দেহে।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
অধ্যাপক ড.অরূপরতন চৌধুরী ১৯৫২ সালে সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার বংশে জন্মগ্রহন করেন । মাতা বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড.মঞ্জুশ্রী চৌধুরী, পিতা সিলেটের কৃতি সন্তান শৈলেন্দ্র কুমার চৌধুরী, বড় ভাই অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী, বোন অধ্যাপক ড.মধুশ্রী ভদ্র। স্ত্রী একজন সুগৃহিণী গৌরী চৌধুরী, দুই পুত্র অনির্বাণ চৌধুরী অ সপ্তক চৌধুরী । ড.চৌধুরী স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহন করেন এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন কন্ঠ শিল্পী/শব্দ সৈনিক ছিলেন। ১৯৭৬ সালে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ থেকে বি ডি এস ১৯৮২-৮৩ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দন্ত চিকিৎসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলোশিপ এবং ১৯৯২-৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক এট স্ট্রনিব্রোক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দন্ত চিকিৎসায় ফেলোশিপ লাভ করেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে অর্জন করেন শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী পি-এইচ.ডি । দীর্ঘ ৩২ বৎসর যাবৎ এদেশে দন্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে বহু প্রকাশনা অ গবেষণা করেছেন এবং এদেশের জনগণের কাছে দন্ত চিকিৎসার বিভিন্ন তথ্য ও রোগ প্রতিরোধের উপর বেতার টেলিভিশনে অনুষ্ঠান নির্মাণ ও উপস্থাপনার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। ১৯৮৯ সালে মাদক ও ধূমপান বিরোধী সংগঠন মানস প্রতিষ্ঠা করেন এবং এ সংগঠনের মাধ্যমে দেশের যুব সম্প্রদায়কে ধূমপান ও মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বেতার ও টেলিভিশনে একজন সফল স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপক । সঙ্গীত জগতে দীর্ঘদিন যাবৎ জড়িত এবং একজন প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী । ইতিমধ্যে ৩টি অডিও সিডি ও একটি ভিসিডি প্রকাশিত হয়েছে। তিনি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রবন্ধ লিখছেন। যাবৎ ধূমপান ও মাদক বিরোধী কর্মকান্ডে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি – বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO)মেডেল লাভ করেন এবং ২০০১ সালে আমেরিকা বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট-এর সদস্য পদ লাভ করেন। ইতোমধ্যে ২৪টি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহন করে বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। ইতোমধ্যে ৯টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। মুখ ও দাঁতের রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধ, ধূমপান ও তামাকের ক্ষয়ক্ষতি এবং মাদক ও মাদকাসক্তির উপর তাঁর রচিত গ্রন্থ সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী বর্তমানে বারডেম হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। পেশায় চিকিৎসক হিসেবে রোগীদের নিয়মিত সেবা প্রদানের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ড যেমনঃ ধূমপান মাদক বিরোধী আন্দোলনে নিজেকে যেমন সক্রিয় রেখেছেন তেমনি বেতার টেলিভিশনে নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য বিষয়ক উপস্থাপনা, রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনা ছাড়াও বিচিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির কাজেও নিজিকে ব্যস্ত রেখেছেন।

এই লেখকের আরো বই