চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

ফেঁসোঘর

    কবি মোহাম্মদ শামসুজ্জামান তার ফেঁসোঘর কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি রচনায় মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। নান্দনিকতায়, উপমায় তার কবিতা চোখের সামনে ভেসে ওঠে জীবন্ত ছবি হয়ে। যেমনÑ ‘খালপাড়ের স্মৃতি’ কবিতায় তিনি লিখেছেনÑ এখানে একটা খাল ছিল/ডুগডুগি বাজানো কিশোর বেলায়/ক্ষুধার্ত পাইথানের মতো শীর্ণদেহ/পড়ে থাকতো ঠায় সারাবেলা। এ আমাদের জীবনের ছবি। ফেলে আসা অতীত। একইভাবে ‘কদুবিল পাড়’ কবিতায় লিখেছেনÑ আজ নিঃসঙ্গ চাঁদের মৌনতায় ঢাকা ছিল কদুবিল পাড়/চলাচলে স্খলিত পদযুগল যেন করোটি হীনতায়/রাতকানা পাখির মতো উড়াউড়ি অসীম শূন্যতায়। কদুবিল পাড়ের এ শূন্যতা আমাদের চিরচেনা গ্রামীণ ছবি। যেখানে আমরা বারবার ফিরে যাই। ফিরে যেতে চাই। আবার ‘কুহকের গান’ কবিতায় প্রিয়জনকে বিদায় জানাতে গিয়ে বিরহী কবি লিখেছেন বেরিয়ে গেলেই চলে যাওয়া হয় না/ ফিরে আসলেই থেকে যাওয়া হয় না/নিকেল জলে ভালোবাসার পদ্ম জাগলে/ভাসিয়ে দেয়া ঠিক নয়। কবির এ দীর্ঘশ্বাস আমাদের বুকের ভেতর মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। মোহাম্মদ শামসুজ্জামানের ‘ফেঁসোঘর’ কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতা সাবলীল উপমায় রচিত। - বহ্নি কুসুম
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
মোহাম্মদ শামছুজ্জামান
মোহাম্মদ শামছুজ্জামান ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬২ সালে ঝিকরগাছা, যশোরের এক সাধারণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ঝিকরগাছা বাজার প্রাইমারি স্কুলে ১৯৭০ সালে প্রাইমারি শিক্ষা গ্রহণ শেষে ঝিকরগাছা বি.এম. হাইস্কুল থেকে ১৯৭৬ সালে এসএসসি এবং ঝিকরগাছা শহীদ মসিয়ূর রহমান ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৭৮ সালে এইচএসসি পাস করেন।

এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭৯ সালে ভর্তি হয়ে ১৯৮৩ সালে মেকানিক্যাল ইজ্ঞিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বিসিআইসি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকুরির পর সিভিল সার্ভিসের মাধ্যমে ১৯৮৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগদান এবং ফেব্রুয়ারি-২০২১ সালে মহাপরিচালক হিসেবে অবসরে গমন করেন। পেশার বাইরে তিনি সাহিত্যিক।

নবম শ্রেণীতে পড়াবস্থায় লেখালেখির হাতেখড়ি। বিগত বত্রিশ বছরে ছোটগল্প, কবিতা, নিবন্ধ, স্মৃতিকথা অনিয়মিতভাবে লিখেছেন। ইতোমধ্যে তিনটি গল্প, তিনটি কাব্য ও একটি নিবন্ধ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে এক পুত্র সন্তানের জনক।

এই লেখকের আরো বই