চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

পলাশী থেকে মুক্তিযুদ্ধ-১ম খণ্ড (মধ্যযুগ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত)

    "পলাশী থেকে মুক্তিযুদ্ধ" দুই খণ্ডে সম্পন্ন ইতিহাস গ্রন্থ। প্রথম খণ্ডটি মধ্যযুগ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত। পরবর্তী খণ্ডে থাকবে পাকিস্তান আমল। ইতিহাস গ্রন্থ হলেও গতানুগতিক ধারায় ইতিহাস লেখেননি লেখক হায়দার আকবর খান রনো। প্রথম খণ্ডে প্রধানত বৃটিশ আমলের ঘটনাবলী, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের বিভিন্ন ধারা তুলে ধরা হয়েছে। বুর্জোয়া রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিত্বের ভূমিকা, শ্রমিক কৃষকের বৈপ্লবিক সংগ্ৰাম, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, তার শ্রেণী উৎস এবং রাজনীতিতে তার প্রভাব- এই সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সমাজ, সংস্কৃতি, সাহিত্য শিল্পকলায় কিভাবে বিবর্তন ঘটেছে, সামাজিক চেতনায় তার প্রগতিমুখী উত্তরণ ঘটেছে, সে-সবের চমৎকার বিবরণ আছে। লেখক নিজে বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় কমিউনিস্ট নেতা। ইতিহাসকে তিনি মার্কসীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করেছেন, ঐতিহাসিক তথ্য ও ঘটনাসমূহের অবিকৃত রেখেই। এই গ্রন্থটি ইতিহাসের ছাত্র এবং বাম রাজনৈতিক নেতা - কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় গ্রন্থ হিসেবে থাকবে বলে নিশ্চয়তা দেয়া যায়।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
হায়দার আকবর খান রনো:
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা। নড়াইল জেলায় এক রাজনৈতিক পরিবারের দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জন্ম হয়েছিল বলে তার ডাকনাম রাখা হয়েছিল রনো। ১৯৪২ সালের ৩১শে আগস্ট কলকাতায় নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। নানা ছিলেন উপ-মহাদেশের বিখ্যাত রাজনীতিক সৈয়দ নওশের আলী। পিতৃভূমি নড়াইল চিত্রা নদীর পাড়ে বরশালা গ্রামে। পিতা হাতেম আলী খান ছিলেন একজন প্রকৌশলী।

হায়দার আকবর খান রনো যশোর জিলা স্কুল, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও ঢাকার সেন্টগ্রেগরী স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৫৮ সালে ঢাকাস্থ সেন্টগ্রেগরী স্কুল ম্যাট্রিক পাস করেন। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে তিনি মেধা তালিকায় ১২তম স্থান লাভ করেছিলেন। ১৯৬০ সালে ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু কোর্স সম্পন্ন করতে পারেননি কারাবাস ও অন্যান্য কারণে। পরে তিনি কারাগারে অবস্থানকালে আইনশাস্ত্রে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হয় তার তাঁর সক্রিয় রাজনীতি। এ সময় তিনি পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। মহান মুক্তিযুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা। ১৯৮২-১৯৯০ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও নেতা ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কম্যুনিস্ট পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য।

এই লেখকের আরো বই