চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

শতাব্দী পেরিয়ে (প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪১১)

    শতাব্দী পেরিয়ে - হায়দার আকবর খান রনো: হায়দার আকবর খান রনোর মতো রাজনৈতিক নেতা ও দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব যখন আত্মজীবনী লেখেন, তখন তা হয়ে দাঁড়ায় রাজনৈতিক দলিল। মার্কসীয় তত্ত্ব, রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এমনকি সাহিত্য ও বিজ্ঞান নিয়েও তার রয়েছে অনেক রচনা। কিন্তু জীবনীমূলক এ বই রাজনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতির আত্মানুসন্ধান। ষাটের দশকের শুরু থেকে বিংশ শতাব্দীর পুরোটা জুড়ে সংগ্রাম ও রাজনৈতিক ঘটনাবলীর। অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ লেখাটি যখন ধারাবাহিকভাবে খবরের কাগজে প্রকাশিত হচ্ছিল, তখনই পাঠকের কৌতূহল সৃষ্টি করেছিল। আত্মজীবনী হলেও গ্রন্থের পরিধি ও বিস্তার বহুদূর পর্যন্ত—জাতীয় রাজনীতি থেকে কমিউনিস্ট আন্দোলন, দেশ থেকে বিদেশ, ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজজীবন, বড় বড় রাজনৈতিক ঘটনা থেকে ছোট ছোট চমকপ্রদ কাহিনী—যা গ্রন্থটিকে বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য দান করেছে। ইতিহাসের উপাদান ও তত্ত্বের গভীরতাও পাঠক পাবেন গল্পের ঢং-এ লেখা রচনা থেকে, যদিও লেখক বইটিকে ইতিহাস বা তাত্ত্বিক রচনা বলতে রাজি নন। শতাব্দী পেরিয়ে বইতে লেখক পেছনের দিনগুলির দিকে ফিরে তাকিয়েছেন, কিন্তু অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন নতুন শতাব্দীর দিকে। আনন্দ-বেদনা-সাফল্য-ব্যর্থতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি আশাবাদই ব্যক্ত করেছেন, আস্থা রেখেছেন নতুন প্রজন্মের প্রতি এবং হাতে তুলে দিয়েছেন নিজে অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ জীবনী।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
হায়দার আকবর খান রনো:
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা। নড়াইল জেলায় এক রাজনৈতিক পরিবারের দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জন্ম হয়েছিল বলে তার ডাকনাম রাখা হয়েছিল রনো। ১৯৪২ সালের ৩১শে আগস্ট কলকাতায় নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। নানা ছিলেন উপ-মহাদেশের বিখ্যাত রাজনীতিক সৈয়দ নওশের আলী। পিতৃভূমি নড়াইল চিত্রা নদীর পাড়ে বরশালা গ্রামে। পিতা হাতেম আলী খান ছিলেন একজন প্রকৌশলী।

হায়দার আকবর খান রনো যশোর জিলা স্কুল, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও ঢাকার সেন্টগ্রেগরী স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ১৯৫৮ সালে ঢাকাস্থ সেন্টগ্রেগরী স্কুল ম্যাট্রিক পাস করেন। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে তিনি মেধা তালিকায় ১২তম স্থান লাভ করেছিলেন। ১৯৬০ সালে ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু কোর্স সম্পন্ন করতে পারেননি কারাবাস ও অন্যান্য কারণে। পরে তিনি কারাগারে অবস্থানকালে আইনশাস্ত্রে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হয় তার তাঁর সক্রিয় রাজনীতি। এ সময় তিনি পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। মহান মুক্তিযুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা। ১৯৮২-১৯৯০ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও নেতা ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কম্যুনিস্ট পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য।

এই লেখকের আরো বই