চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

গণিত হোক আনন্দময়

    গণিত সত্যিই এক মজার ও আনন্দের বিষয় অথচ অনেকেই তা বুঝতে ও উপলব্ধি করতে না পারার কারণে গণিতের মজা ও আনন্দ উপভােগ করতে পারে না। প্রফেসর এম. শমশের আলী দেখিয়েছেন গণিত কত মজার ও আনন্দের বিষয় হতে পারে। এ বইটি আনন্দ ও বিনােদনের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও গণিতপ্রেমী শিক্ষার্থীদের গণিতের মজা ও বুদ্ধির বিকাশে গণিতের নানামুখি ব্যবহার সম্পর্কে সম্পূর্ণ নতুন ও আধুনিক দৃষ্টির যােগান দেবে। গাণিতিক জ্ঞান ছাড়া বিজ্ঞান চর্চা ও অগ্রগতি অসম্ভব তাই বর্তমানে সারা বিশ্বে গণিত চর্চার মাধ্যমে বিজ্ঞানের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ঘটছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড (IMO) এখন সমগ্র বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। তরুণ শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযােগিতায় অংশ নিয়ে মেধা ও বুদ্ধির চর্চায় অনেক দূর অগ্রসর হতে সক্ষম হয়েছে। গণিতকে বিজ্ঞানের রানী বলা হয় কারণ গণিত ছাড়া বিজ্ঞানের অগ্রগতি অসম্ভব। এখন শুধু প্রতিভাবান ছাত্ররাই নয় বরং বিজ্ঞানের সকল শাখার ছাত্ররা গণিত সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তারাও আনন্দের সাথে গণিত শিখতে চায়, গণিতের মজা উপভােগ করতে চায়। গণিতকে তাদের কাছে আনন্দময় করে তুলতে এই গ্রন্থের অবতারণা। আমাদের গণিত চর্চাকে মজার, উপভােগ্য ও আনন্দদানের পাশাপাশি এ বইটি অঙ্কের বুদ্ধি ও সৃজনশীলতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার শক্তি যােগাবে। তরুণ শিক্ষার্থীবৃন্দ এই বইটির অর্জিত জ্ঞান ও গাণিতিক দক্ষতাকে গণিত অলিম্পিয়াড তথা উচ্চতর গণিত চর্চায় কাজে লাগাতে সক্ষম হবে। এতে সৃজনশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকে সমৃদ্ধ করতে গণিতকে আনন্দের সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
প্রফেসর ড. এম শমশের আলী

বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম. শমশের আলী ১৯৬১ সালে ঢাকায় আণবিক শক্তি কমিশনে সায়েন্টিফিক অফিসার পদে যােগ দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানের নানা পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি অসামান্য একাডেমিক ক্যারিয়ারের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালে তাকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অনারারি প্রফেসর এর বিরল সম্মানে ভূষিত করেন। পরবর্তীতে দুই যুগ ধরে তিনি এই বিভাগের নিয়মিত অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উচ্চশিক্ষার সুযােগ বঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগােষ্ঠীকে শিক্ষার সুযােগ করে দিতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা তার একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। তিনি ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নের বাস্তব রূপদানকারী প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য। তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার উচ্চতর পরামর্শক, গবেষক ও প্রতিনিধির সম্মানে সম্মানিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত অধ্যাপনা শেষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সাইথইস্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইমিরেটাস হিসেবে দায়িত্বে নিয়ােজিত আছেন। বিজ্ঞান জগতে খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. এম. শমশের আলী বিশ্বের তিনটি সায়েন্স একাডেমির ফেলাে- ওয়ার্ল্ড একাডেমিক অব সায়েন্স, একাডেমি অব সায়েন্স অব দি ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এবং বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স (প্রেসিডেন্ট : ২০০৪-২০১২)। তিনি বাংলা একাডেমির একজন ফেলাে। বিজ্ঞানভাবনা প্রসারে সদা-উৎসাহী প্রফেসর এম. শমশের আলী টানা এক যুগ ধরে বিটিভিতে বিজ্ঞান বিচিত্রা ও নতুন দিগন্ত' দুটি নতুন ধারার শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। এ সময় তিনি বিজ্ঞানের নানা গুরুত্বপূর্ণ দিকসহ ধর্ম, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ে সিরিজ লেকচার প্রদান করেন। তিনি বিজ্ঞানকে অত্যন্ত সহজ সরলভাবে উপস্থাপনের দক্ষ কারিগর। বৃহত্তর জনগােষ্ঠীর মাঝে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করে। তােলার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অর্জন করেছেন ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্স ও ইতালির থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক অব সায়েন্টিফিক অর্গানাইজেশনের সম্মাননা। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি ভূষিত হয়েছেন বহু গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা ও পুরস্কারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিপ্রসন্ন রায় স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স স্বর্ণপদক, জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদক এর। অন্যতম। এছাড়াও দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রথমসারীর সায়েন্টিফিক জার্নালগুলােতে প্রকাশিত হয়েছে। তার বিজ্ঞান, ধর্ম, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির সাথে বিজ্ঞানের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক ভিত্তিক নানা প্রকাশনা ও। গবেষণামূলক প্রবন্ধ। তিনি নিয়মিত গণিত, বিজ্ঞান, ধর্ম, সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও ইসলামের আলােকে জীবন এবং জীবনের জন্য। বিজ্ঞান নিয়ে লিখছেন। এ বিষয়ে তার দুটি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই প্রকাশিত। হয়েছে। ১. ইসলাম বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি ও ২. সমসাময়িক কিছু প্রসঙ্গ : ইসলামের আলােকে ভাবনা। Teiturat 1. Islam Science & Culture. 2. Islam & Some Contemporary Issues. প্রখ্যাত পরমাণুবিজ্ঞানী প্রফেসর এম শমশের আলী একজন সদালাপী, সজ্জনপ্রিয় ও আদর্শ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। মানুষ।

এই লেখকের আরো বই