চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

আলাদিনের সত্যিকারের আশ্চর্য প্রদীপ: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    আমরা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের কথা শুনেছি। যা ঘষলেই প্রদীপের ভেতর থেকে জিন বেরিয়ে আসতাে। বিস্ময়কর সেই প্রদীপের রূপকথার বাস্তব রূপায়ন হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক জ্ঞানের ব্যবহার। আলাদিনের সত্যিকারের আশ্চর্য প্রদীপ হলাে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক জ্ঞানের যথাযথ ব্যবহার কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব এবং বর্তমান বিশ্বের উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতিগুলাের দিকে তাকালে আমরা সত্যি অবাক হই; তারা কি আলাদিনের সেই চেরাগ পেয়েছিল? যা ঘষে রাতারাতি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছে গেছে। হ্যা সত্যি তাই তাঁরা আলাদিনের সত্যিকারের আশ্চর্য প্রদীপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক’ জ্ঞানের সফল ব্যবহার করেছিল। আমরা জানি, রাদার ফোর্ডের পরমাণু মডেল থেকেই শুরু হয় পরমাণুর গােপন রহস্য উন্মােচন, যেখান থেকে পরবর্তীতে জানা যায় যে নিউক্লিয়াসে প্রােটন আর নিউট্রন থাকে, যারা আবার গঠিত হয় কোয়ার্ক' নামের কিছু কণিকা দ্বারা। রাদারফোর্ডের আবিষ্কার সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, এবং তাকে একজন সাংবাদিক একটি প্রশ্ন করেন যা আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে সুদূর প্রসারী “পারমাণবিক শক্তিকে ব্যবহারিক কাজে লাগানাের কি কোনাে সম্ভাবনা আছে?” এই প্রশ্ন শুনে স্ক্রিপের হাসি ফোটে রাদারফোর্ডের মুখে। “পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার?” এই কথা বলে তিনি সেই সাংবাদিককে আক্ষরিক অর্থেই ঘর থেকে বের করে দেন। কিন্তু পারমাণবিক শক্তিকে কাজে লাগানাের কথা বলে সেই সাংবাদিক যে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণীই করেছিল তা এখন প্রমাণিত। ইতােমধ্যেই আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের ভর-শক্তি সম্পর্কিত তত্ত্ব সবার কাছে সুপরিচিত হয়ে উঠেছে, এবং এর আবিষ্কারের তিন থেকে চার দশকের মধ্যেই হিরােশিমা আর নাগাসাকিতে বিস্ফারিত হয়েছে পারমাণবিক বােমা। তার কিছু পরেই শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করেছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার স্টেশন। ওই সময় যদি লর্ড রাদারফোর্ড বেঁচে থাকতেন, তাহলে শেষ হাসিটা ওই সাংবাদিকের মুখেই দেখতে হত তাকে। আমরা এখানে যা বলতে চাচ্ছি তা হলাে রাদারফোর্ডের মতাে অনেক বিজ্ঞানীই কেবল প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনে ব্যস্ত থাকেন- দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য উভয় পর্যায়েই। তাদের কাজের ফলাফল কত সুদুরপ্রসারী হতে পারে সে ব্যাপারে সাধারণত তারা চিন্তা করেন না। স্থান এবং কাল সম্পর্কিত তত্ত্বকে আইনস্টাইন তার আপেক্ষিক তত্ত্বে
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
প্রফেসর ড. এম শমশের আলী

বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম. শমশের আলী ১৯৬১ সালে ঢাকায় আণবিক শক্তি কমিশনে সায়েন্টিফিক অফিসার পদে যােগ দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানের নানা পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এর পাশাপাশি অসামান্য একাডেমিক ক্যারিয়ারের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালে তাকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অনারারি প্রফেসর এর বিরল সম্মানে ভূষিত করেন। পরবর্তীতে দুই যুগ ধরে তিনি এই বিভাগের নিয়মিত অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উচ্চশিক্ষার সুযােগ বঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগােষ্ঠীকে শিক্ষার সুযােগ করে দিতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা তার একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। তিনি ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নের বাস্তব রূপদানকারী প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য। তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার উচ্চতর পরামর্শক, গবেষক ও প্রতিনিধির সম্মানে সম্মানিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত অধ্যাপনা শেষে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সাইথইস্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইমিরেটাস হিসেবে দায়িত্বে নিয়ােজিত আছেন। বিজ্ঞান জগতে খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. এম. শমশের আলী বিশ্বের তিনটি সায়েন্স একাডেমির ফেলাে- ওয়ার্ল্ড একাডেমিক অব সায়েন্স, একাডেমি অব সায়েন্স অব দি ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এবং বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স (প্রেসিডেন্ট : ২০০৪-২০১২)। তিনি বাংলা একাডেমির একজন ফেলাে। বিজ্ঞানভাবনা প্রসারে সদা-উৎসাহী প্রফেসর এম. শমশের আলী টানা এক যুগ ধরে বিটিভিতে বিজ্ঞান বিচিত্রা ও নতুন দিগন্ত' দুটি নতুন ধারার শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। এ সময় তিনি বিজ্ঞানের নানা গুরুত্বপূর্ণ দিকসহ ধর্ম, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ে সিরিজ লেকচার প্রদান করেন। তিনি বিজ্ঞানকে অত্যন্ত সহজ সরলভাবে উপস্থাপনের দক্ষ কারিগর। বৃহত্তর জনগােষ্ঠীর মাঝে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করে। তােলার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অর্জন করেছেন ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্স ও ইতালির থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক অব সায়েন্টিফিক অর্গানাইজেশনের সম্মাননা। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি ভূষিত হয়েছেন বহু গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা ও পুরস্কারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিপ্রসন্ন রায় স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স স্বর্ণপদক, জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদক এর। অন্যতম। এছাড়াও দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রথমসারীর সায়েন্টিফিক জার্নালগুলােতে প্রকাশিত হয়েছে। তার বিজ্ঞান, ধর্ম, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির সাথে বিজ্ঞানের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক ভিত্তিক নানা প্রকাশনা ও। গবেষণামূলক প্রবন্ধ। তিনি নিয়মিত গণিত, বিজ্ঞান, ধর্ম, সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও ইসলামের আলােকে জীবন এবং জীবনের জন্য। বিজ্ঞান নিয়ে লিখছেন। এ বিষয়ে তার দুটি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই প্রকাশিত। হয়েছে। ১. ইসলাম বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি ও ২. সমসাময়িক কিছু প্রসঙ্গ : ইসলামের আলােকে ভাবনা। Teiturat 1. Islam Science & Culture. 2. Islam & Some Contemporary Issues. প্রখ্যাত পরমাণুবিজ্ঞানী প্রফেসর এম শমশের আলী একজন সদালাপী, সজ্জনপ্রিয় ও আদর্শ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। মানুষ।

এই লেখকের আরো বই