চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

মেঘেদের দিন

    রাতে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড গরম পড়েছে। চারপাশটা কেমন স্থির, নিস্পন্দন। কোথাও গাছের পাতা অব্দিও নড়ছে না। যেন প্রলয়ঙ্করী কোনাে ঝড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রকৃতি। মারুফ খানিকটা সরে এল তানিয়ার কাছে। তানিয়া প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই বলল, আমার খুব ভয় করছে মারুফ। মারুফ অবাক গলায় বলল, ভয় করছে কেন ? জানি না কিন্তু প্রচণ্ড ভয় করছে। আমি তােমাকে বােঝাতে পারব না। ধুর বােকা। এখানে ভয় কিসের ? তানিয়ার মুখ শুকিয়ে গেছে। সে শুকনা গলায় বলল, আমি জানি না। কিন্তু টের পাচ্ছি, কোনাে একটা ভয়াবহ বিপদ ঘটতে যাচ্ছে। কিসের বিপদ ? আমি জানি না। কিন্তু সত্যি বলছি ভয়াবহ কোনাে বিপদ। মারুফের আচমকা মনে হলাে তানিয়া যা বলছে তা সত্য। তানিয়ার ভয়টাকে আর অমূলক বা হেসে উড়িয়ে দেওয়ার মতাে কোনাে বিষয় মনে হচ্ছে না তার। বরং মনে হচ্ছে অমােঘ কোনাে সত্য। সে ঘাড় ঘুরিয়ে চারপাশে তাকালাে। মাথার ওপর অশরীরী উপস্থিতির মতাে দুটো আমগাছের ডাল কেমন ছড়িয়ে আছে। একটা বাদুর বা অন কোনাে নিশাচর পাখির ডানা ঝাপটানাের শব্দে আচমকা কেঁপে উঠল চারপাশ। ভেঙে খানখান হয়ে গেল রাতের নৈঃশব্দ্য। সেই শব্দে কেঁপে উঠল তানিয়াও। সে দুহাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল মারুফকে। তারপর মারুফের কানের কাছে মুখ নিয়ে ভয়ার্ত কণ্ঠে বলল, আমি আর এখানে থাকব না মারুফ। এক মুহূর্তও না।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই