চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো (হার্ডকভার)

দ্য সার্জন

    কাহিনী সংক্ষেপ: অদ্ভুত এক খুনী। বিচিত্র তার খুন করার ধরণ। শিকার হিসেবে সে বেছে নেয় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মেয়েদের। এরপর..... রাতের অন্ধকারে সে শিকার করতে বের হয়। ডাক্ট টেপ দিয়ে ঘুমন্ত শিকারের মুখ, হাত, পা শক্ত করে বেঁধে ফেলে। হাতে তুলে নেয় স্কালপেল। অত্যন্ত সুনিপুণভাবে কাঙ্ক্ষিত শিকারের তলপেটে স্কালপেল চালায়। জীবিত অবস্থায়ই কেটে বের করে নিয়ে আসে গর্ভাশয়। শিকারের মৃত্যুভয় আর অসম্ভব যন্ত্রণা দেখে সে এক ধরণের পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করে। সবশেষে একটানে সে শিকারের গলা কেটে ফেলে। আর বিজয়ের স্মারক হিসেবে সাথে করে নিয়ে যায় খুন করা নারীর গর্ভাশয়! সংবাদমাধ্যম তার নাম দিয়েছে “সার্জন”। ঠিক দুই বছর আগে সাভানাতেও একজন সিরিয়াল কিলারের আবির্ভাব ঘটেছিলো। তার সর্বশেষ শিকার ছিল ট্রমা সার্জন ড. ক্যাথারিন কর্ডেল। কিন্তু সেখানে সে ক্যাথারিনকে খুন করতে পারেনি। বরং ক্যাথারিনের গুলিতেই তার মৃত্যু ঘটে। তাহলে আজ দুই বছর পর যে বোস্টনে ধারাবাহিকভাবে খুন করে যাচ্ছে সে কে? কিভাবে সে মৃত খুনীর মত হুবহু একই উপায়ে খুন করছে? ড. ক্যাথারিনকেই বা কেন সে খুন করতে চাচ্ছে? কি শত্রুতা তার সাথে? তাহলে কি “সার্জন” সেদিন ক্যাথারিন এর গুলিতে মরেনি? নাকি নিহত খুনীর অনুসরণ করে যাচ্ছে অন্য কেউ? বোস্টন হোমিসাইড ইউনিটের দুই দুর্ধর্ষ ডিটেকটিভ টমাস মুর আর জেন রিজোলি পারবে কি সার্জনকে খুঁজে বের করতে? পাঠ প্রতিক্রিয়া: এক কথায় দুর্দান্ত একটি থ্রিলার। ৩৩৫ পৃষ্ঠার বই হলেও বোর হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শুরু থেকেই বইটা একই রকম গতিশীল। প্রতিটি অধ্যায়ই টুইস্ট আর সাসপেন্সে ভরপুর ছিল। তবে শেষ ৭০/৮০ পৃষ্ঠায় কাহিনীর গতি কয়েকগুণ বেড়ে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো। বইটিতে খুনের বর্ণনাগুলো খুবই লোমহর্ষক ছিল। পড়তে গিয়ে প্রতিবারই গা শিউরে উঠেছে। মাঝখানে অবশ্য লেখিকা কিছু প্রাচীন মিথের বর্ণনা দিয়েছেন। শুরুতে না বুঝলেও পরবর্তীতে সেগুলোর সাথে কাহিনীর সংশ্লিষ্টতা বুঝতে পেরেছি। আর মেডিকেল টার্মগুলো প্রতিবারই গুগোলে সার্চ করে দেখে নিতে হয়েছে। যদি বইয়ের শেষে মেডিকেল টার্মগুলোর জন্য টীকা সংযুক্ত করা হত তবে পড়তে খুব সুবিধা হত। এই উপন্যাসে একটা লাইন আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। লাইনটা হচ্ছে, “দু’জন মানুষ একে অপরের সাথে সব থেকে অন্তরঙ্গভাবে যে বন্ধনটিতে আবদ্ধ হয় তা ভালোবাসা বা কামনা নয়, বরং সুতীব্র কষ্ট।” এবার বানান নিয়ে কিছু বলি। প্রথম দিকে বানান ভুল বলতে গেলে খুবই কম ছিল। শুধু কিছু টাইপিং মিস্টেক আর কিছু স্থানে ‘ই’ এর পরিবর্তে ‘য়’ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শেষের দিকে কিছু বানান ভুল বেশ বিরক্তিকর লেগেছে। তবে ওভারঅল বানান ভুল সহনীয় পর্যায়ে ছিল। প্রথম অনুবাদ হিসেবে অনুবাদিকা সান্তা রিকি দুর্দান্ত অনুবাদ করেছেন। ঝরঝরে, সাবলীল অনুবাদ। পড়ার সময় মনেই হয়নি যে অনুবাদ পড়ছি। তবে শেষেরদিকে বেশ কিছু জায়গায় জটিল বাক্যের ব্যবহার আর “করেছিলো না”, “দেখেছিলো না” এসব অপ্রচলিত শব্দগুলো বেশ চোখে লেগেছে। বই প্রকাশের তাড়াহুড়োর কারণে এমন হলো কিনা ঠিক বুঝতে পারলাম না। সবশেষে আসি প্রচ্ছদের ব্যাপারে। জনাব ডিলান সাহেবের প্রচ্ছদ আমার সবসময়ই ভালো লাগে। এ বইটিতেও তিনি হতাশ করেননি। বরাবরের মতই সুন্দর প্রচ্ছদ করেছেন।
Cash On Delivery
7 Days Happy Return
Delivery Charge Tk. 50(Online Order)
t

এই লেখকের আরো বই